
অনেকেই রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না, অথচ কারণটা বোঝা যায় না। অনেক সময় এই সমস্যার পিছনে থাকে obstructive sleep apnoea বা ঘুমের অ্যাপনিয়া নামের একটি সমস্যা। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। এই কারণে মানুষ ঘুমের মধ্যে হঠাৎ জেগে ওঠে বা ভোরে ক্লান্ত বোধ করে।
ঘুমের অ্যাপনিয়া কীভাবে হয়
ঘুমের অ্যাপনিয়া সাধারণত তখন হয় যখন গলার পেশিগুলি ঘুমের সময় শিথিল হয়ে যায় এবং বাতাসের পথ আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থা বারবার ঘটলে ঘুমের মান অনেক কমে যায়। এটি কেবল ক্লান্তি নয়, বরং উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতেও পারে।
সাধারণ লক্ষণ
- রাতে জোরে নাক ডাকা
- শ্বাস বন্ধ হওয়া বা হাঁপ ধরা
- অপর্যাপ্ত ঘুম বা সকালে মাথা ব্যথা
- দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব
- মনোযোগে ঘাটতি বা বিরক্তি
কারণ ও ঝুঁকির কারণ
ওজন বেশি থাকা, বয়স, জিনগত কারণ, অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, এবং ঘুমানোর ভঙ্গি — এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক কারণে ঘুমের অ্যাপনিয়া হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।
rest apnea চিকিৎসার উপায়
এই সমস্যার চিকিৎসা নির্ভর করে এর মাত্রা ও কারণের ওপর। হালকা ক্ষেত্রে জীবনযাপনের পরিবর্তন — যেমন ওজন কমানো, ধূমপান বন্ধ করা, বা ঘুমানোর অভ্যাস ঠিক করা — খুব কার্যকর হতে পারে। কিন্তু গুরুতর অবস্থায় sleep apnea treatment প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে সিপ্যাপ (CPAP) মেশিন ব্যবহার, মুখে পরিধানযোগ্য যন্ত্র, বা সার্জারি।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ রাতে খুব নাক ডাকেন, ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা সকালে ক্লান্ত অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যায়।
শেষ কথা
ঘুমের অ্যাপনিয়া এমন একটি সমস্যা যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। ভালো ঘুম মানেই ভালো জীবন। তাই যদি মনে হয় আপনি এই সমস্যায় ভুগছেন, তবে এখনই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সঠিক